সন্তানের কল্যানেই বাবা মায়ের সুখ। আসলেই কি তাই! একবারো কি ভেবে দেখেছেন, এই সন্তানই আপনাকে জান্নাত এবং জাহান্নামে নিয়ে যাবে আর সেটা আপনার ইচ্ছাকৃতভাবেই।  

এখন প্রশ্ন হলো, কেমনে সন্তান আপনার জন্য জান্নাত এবং জাহান্নাম? 

খুব সহজ ভাবে যদি বলতে হয় তাহলে;  সন্তানের কল্যানের জন্য আমরা আমাদের নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেই কিন্তু কখনও ভেবে দেখিনা এই সন্তান যদি অমানুষ হয় এবং জমিনের বুকে খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে যায় তাহলে আমাদের জন্য ইহকাল পরকাল দুইজায়গাতেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে হবে। সন্তানের আচরণের জন্য সমাজে আপনাকে অপমানিত হতে হব। তেমনি করে পরকালের বিচারে এই সন্তান আপনার বিরুদ্ধে নালিশ দিবে এই বলে; হে আল্লাহ আমার পিতা মাতা আমাকে সৎ পথে চলতে উৎসাহ করে নাই। আমাকে দ্বীনের পথে চলতে বলে নাই। নামাজ, রোজা ইসলামি জীবনযাপনের জন্য তাগিদ দেই নাই। তখন কি হবে আপনার ভেবে দেখেছেন?

তখন আপনাকে আপনার সন্তানের পাপের বোঝা আপনার কাধে নিতে হবে এবং জাহান্নামের মত ভয়ানক পরিনতি হবে।

অন্যদিকে আমরা যদি আমাদের সন্তানকে দ্বীনদার নামাজ গুজারি বানাতে পারি, মানুষের মত মানুষ বানাতে পারি তাহলে আমাদের জন্য  ইহকাল পরকালের জন্য  সফল হতে পারবো। সমাজের বুকে সন্তানের আচরণের বা কৃতকর্মের জন্য সন্মানিত হতে পারবো। মৃত্যুর পর সন্তান আপনার জন্য দোয়া করবে এবং  শেষ বিচার দিবসে এই সন্তানই আপনার আমার জন্য জান্নাতের পথে নিতে সাহায্য করবে। রব্বুল আলামীন হিসেবে খাতায় আপনার সন্তানের আমলের কারনে আপনাকে ধন্য করবে।  আর আপনাকে জান্নাত দিবে।

তাই আমাদের উচিত সন্তানের যত্ন নেওয়া।  সন্তানকে সৎ পথে পরিচালনা করা। দ্বীনদার হিসেবে গড়ে তোলা।

আল্লাহ আমাদের কে এবং আমাদের পরিবারের সবাইকেই হেদায়েত দান করুন। আমিন